বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
এক দফা দাবিতে নার্সদের পতাকা মিছিল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ বিসিক মুদ্রণ শিল্পনগরী স্থাপন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছে বিজিবি সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলকে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ফুলেল শুভেচ্ছা বাড়ছে পদ্মার পানি, বন্যার আতঙ্ক রাজশাহীতে টেক্সটাইল করপোরেশন পরিদর্শন করলেন বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা দূষণ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে বিশ্বব্যাংক : পরিবেশ উপদেষ্টা “যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ঝটিকা সফর” স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াতের

উত্তরা আল আশরাফ হাসপাতাল যেন সাক্ষাৎ মূত্যু কূপ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥

আল আশরাফ হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর। ব্রাম্মনবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক রুগীকে ১৪ ই এপ্রিল রেফার করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিন্তু ডাক্তার আরিফ এবং দালাল অজয়ের হাত ঘুরে আহত রাজীব চলে আসে উত্তরায় এই আল আশরাফ জেনারেল হাসপাতালে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আটকে রেখে টাকা পয়সার আদায় এবং দেন দরবারের কৌশলের চাপে পরে রাতে মারা যায় সেই নির্মাণ শ্রমিক রাজীব।

কি ঘটেছিল আসলে রাজিবকে নিয়ে। সেদিন রাত ১১ টায় ব্রাম্মনবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় মারপিটে আহত এক যুবক। যার নাম রাজিব বা রজব। ডাক্তার আরিফের আত্মীয় স্বজন সেই মারপিটে জরিত থাকায়। পরিস্থিতি আড়ালে সাধারণ চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় রাজিবকে। রাতে রাজীবের পরিবার তাকে এনে রাখে এক আত্মীয়ের বাসায়। রাত ৩ টায় রাজীবের অবস্থা বেগতিক হয়। রাজীব রক্ত বমি করতে থাকলে তাকে আবার আনা হয় ব্রাম্মনবাড়িয়া সদর হাসপাতালে। তখনো দ্বায়িত্ব পালন করছিলেন ডাক্তার আরিফ। পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে জেনেও সে রুগীকে ধরিয়ে দেয় দালাল অজয়কে। ভাল চিকিৎসার নাম করে রাজীবকে জোর করে ভর্তি করা হয় এই আল আশরাফ জেনারেল হাসপাতালে। দালাল অজয় পায় কমিশন ১০০০০ টাকা। যদিও কত টাকায় ডাক্তার আরিফ রোগী পাঠাতে সহায়তা করেছিলেন তা এখনো জানা যায়নি। কারন আল আশরাফ হাসপাতালের নাকি তা ব্যবসায়িক গোপনীয়তা। অবশ্য আমাদের প্রতিনিধির কাছে দেওয়া বক্তব্যে ডাঃ আরিফ রুগী নিয়ে বানিজ্য অস্বীকার করেন। আর এই সুযোগে আল আশরাফ হাসপাতাল রাজীবের আহত দেহকে হাসপাতালের বেডে রেখে চালাতে থাকে দেন দরবার। সর্ব মোট দুই লক্ষ টাকা দাবী করে রাজীবের পরিবারের কাছে। টাকা দিতে বিলম্ব হওয়াই চিকিৎসা বন্ধ করে দেয় তারা।ফলে মূত্যুর কোলে ঢলে পরে রাজীব। হাসপাতালের হৃদয় বিদারক ঘটনার পর গোপনে লাশ নামানো হয় নীচে। আল আশরাফ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশকে টেনে হিচরে ফেলে দেয় নীচে। হুশিয়ার করে এম্বুলেন্স ডেকে লাশ না সড়ালে ড্রেনে ফেলে দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী দেয়।

অসহায় গ্রাম থেকে শহরে ছেলের চিকিৎসা করাতে আসা রাজীবের মা ও ভাই শুরু করে অসহায়ের মত ফুটপাতে বসে কান্নাকাটি । কোন স্বজনের দেখায় থানায় যায় অভিযোগ। উত্তরা পশ্চিম থানার এস আই নাহিদ জানান অভিযোগ পেয়ে পুলিশ হাসপাতালকে শুধু মাত্র সতর্ক করে ফিরেছে। চিকিৎসা অবহেলায় আল আশরাফ হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা নয় কেন। এমন অভিযোগের তেমন কোন স্বদুত্তর পাওয়া যায়নি আজও। পুলিশ লাশ পোষ্টমটেমের জন্য ঢাকা মেডিক্যালে পাঠিয়ে নিজেদের দায় মুক্ত করে। যদিও ব্রাম্মনবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় একটি মামলা দায়ের করেছে রাজীবের পিতা ইউসুফ শেখ। এই বিষয়ে এবিসি বাংলা নামের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ধারাবাহিক অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রচারের পর এখন অভিযান চালানো হলো এই মূত্যু কূপ আল আশরাফ হাসপাতালে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 ithostseba.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com