রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছে বিজিবি সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলকে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ফুলেল শুভেচ্ছা বাড়ছে পদ্মার পানি, বন্যার আতঙ্ক রাজশাহীতে টেক্সটাইল করপোরেশন পরিদর্শন করলেন বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা দূষণ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে বিশ্বব্যাংক : পরিবেশ উপদেষ্টা “যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ঝটিকা সফর” স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াতের ভালো কিছু করার চর্চা দেখতে চাই : সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টা দেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত হতে যাচ্ছে, বাংলাদেশ স্পোর্টস ইন্সটিটিউট : যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা ঐতিহ্যবাহী নদী ও বিল দখল রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে : পানিসম্পদ উপদেষ্টা

বাজারে বিভিন্ন ধরনের পেঁয়াজ, দাম ৮০-২০০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণায় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে দেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে বাজারে বিভিন্ন ধরনের পেঁয়াজ উঠেছে। এসব পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকার মধ্যে। তবে ক্রেতারা বাড়তি দামের বিষয়টি মানতে পারছেন না।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজারের চারুলতা কাঁচাবাজার ও আশপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে পাতাসহ পেঁয়াজ। আঁটি বেঁধে পাতাসহ এ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। অন্যদিকে নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে। আর পুরোনো দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা কেজি দরে। বাজারে বড় সাইজের মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া মাঝারি সাইজের ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে।

পেঁয়াজের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে খুচরা ব্যবসায়ী আখতার হোসেন বলেন, বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজ এসেছে। বাড়তি দাম আর থাকবে না। সপ্তাহখানেক পরে পেঁয়াজের দাম কমে যেতে পারে। অস্থিরতা অনেক কমবে।

তিনি বলেন, বাজারে এখনো ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা আছে। ১৬০ টাকা কেজি হলেও কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দেশি পেঁয়াজেরও চাহিদা আছে। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় মানুষ কিনতে পারছে না।

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা কেজি, যা আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। এছাড়াও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি দরে, যা আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা করে। তবে শুক্রবার সন্ধ্যার পর পেঁয়াজের দামে ভেলকি দেখান বিক্রেতারা। তখন ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা দরে এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকা কেজি দরে। পরে সেই দাম আরও বেড়ে ভারতীয় পেঁয়াজ ১৭০-১৮০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।

ক্রেতা জাহিদ আহসান বলেন, আমার মনে আছে, গত শুক্রবার সকালে আমি ২ কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ কিনেছিলাম ১১০ টাকা কেজি দরে। সন্ধ্যায় শুনলাম দাম নাকি ১৬০ টাকা হয়ে গেছে। আজ আবার বাজারে এসে দেখি দাম ১৬০ টাকাই আছে। এভাবে তো কোনো কিছু কেনা যায় না। একেকদিন বাজারে দামের পার্থক্য যদি আকাশ ছোঁয়া থাকে আর বাজারের হিসাব মিলাতে না পারি, তাহলে তো না খেয়ে মরতে হবে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দেওয়া এক আদেশে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত। মূলত নিজেদের দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত সরকার আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার এ পদক্ষেপ নেয়।

এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) জানায়, পেঁয়াজের রপ্তানি নীতি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তবে তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধের পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া অনুমতির ভিত্তিতে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 ithostseba.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com