রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ বিসিক মুদ্রণ শিল্পনগরী স্থাপন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছে বিজিবি সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলকে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ফুলেল শুভেচ্ছা বাড়ছে পদ্মার পানি, বন্যার আতঙ্ক রাজশাহীতে টেক্সটাইল করপোরেশন পরিদর্শন করলেন বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা দূষণ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে বিশ্বব্যাংক : পরিবেশ উপদেষ্টা “যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ঝটিকা সফর” স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াতের ভালো কিছু করার চর্চা দেখতে চাই : সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টা

ঐতিহ্যবাহী নদী ও বিল দখল রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে : পানিসম্পদ উপদেষ্টা

সচিবালয় প্রতিবেদক : পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জাতীয় ঐতিহ্যবাহী বিল ও নদীসমূহের অবৈধ দখল রোধে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর অংশ হিসেবে আড়িয়াল, চলন, বেলাই ও বসিলা বিলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

তিনি বলেন, এলক্ষ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টাসহ আগামী সপ্তাহে আড়িয়াল বিল পরিদর্শন করা হবে। হাওর ও বিল সংরক্ষণে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফসলের ক্ষতি কমাতে হাওর এলাকায় যথাসময়ে বাঁধ মেরামত করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে পানিসম্পদ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মানুষের পানির অধিকার নিশ্চিত করতে নদীদূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। বড়াল, পিয়াইন, ডাউকি, সোমেশ্বরী, বালু, বুড়িগঙ্গা, মগড়া এবং করতোয়াসহ সংকটাপন্ন নদীর তালিকা প্রস্তুত করে সেখান থেকে ক্ষতিকর স্থাপনা সরিয়ে দিতে হবে। নদীর বালু এবং পাথর উত্তোলনকে নিয়ন্ত্রিত বা নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা তৈরি করতে হবে। নদী ভাঙন রোধে প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে এবং ভাঙন কবলিত লোকদের খাস জমিতে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নদীগুলোতে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করা হবে।

পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মানুষের সাথে আলোচনা করে কম ব্যয়ের অত্যাবশ্যক প্রকল্প গ্রহণ পূর্বক বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনও উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে নদী যেনো মারা না যায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।১৯৯৯ সালের জাতীয় পানি নীতিমালা বাতিল করে যুগোপযোগী পানি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে, যেখানে জনমতের প্রতিফলন ঘটাতে হবে। নদীকে জীবন্ত সত্তা বিবেচনা করে নদী রক্ষা কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সাথে আলোচনা করে নদীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে। সেখানে নদীর আঞ্চলিক ও স্থানীয় নামেরও স্বীকৃতি দিতে হবে, যাতে কোন নদী শাখা নদী বা উপনদী বিবেচনায় হারিয়ে না যায়।

সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, কোনও কর্মকর্তা কর্তব্য পালনকালে কোনও প্রকার দুর্নীতি, অনিয়ম ও অবহেলা প্রদর্শন করলে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সুশাসন ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় মানুষের তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে হবে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ এবং অধীন দপ্তর সমূহের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সমস্যা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জসমূহ শোনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 ithostseba.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com