বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন
রাজশাহী থেকে ॥
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের সমষপাড়া গ্রামের এক কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ। তাকে ধর্ষনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আম গাছে ঝুলিয়ে রাখার হয়েছে বলে নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ উঠেছে। নিহত ছাত্রীর নাম তামান্না সুলতানা ওরফে টিয়া (১৮)। সে উপজেলার সমসপুর গ্রামের আবদুর রশিদের মেয়ে। এবং সাধনপুর স্কুল এন্ড কলেজ এর এইচএসসি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী।
ছাত্রীর বাবা আব্দুর রশিদ জানান, দির্ঘদি যাবত তাঁর মেয়ে টিয়ার সাথে পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের সাধনপুর খিদিরপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শান্ত ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দুজনই বিয়ের জন্য অভিভাবকদের চাপ দেয়। তবে দুই পরিবারের কেউ এ বিয়ের রাজি ছিল না। এবং শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শান্ত কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে তাদের বাড়িতে আসে। এ সময় তারা মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তার পরিবারের লোকজন সারা রাত খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের সন্ধান পাননি তাঁরা। শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির কাছে পার্শ্ববর্তী নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার সরকুতিয়া দক্ষিন পাড়ার ক্ষুদ্রবাড়িয়াহাটি এলাকার একটি আম গাছে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান সে এলাকার লোকজন। এবং খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন। পরে নাটোরের নলডাঙ্গা থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যান।
এবিষয়ে যোগযোগ করা হলে নাটোরের নলডাঙ্গা থানার ওসি উজ্জ্বল হোসেন জানান, পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের বা আঘাতের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিবেদন হাতে পেলে বোঝা যাবে ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কিনা। এব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।