রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:২২ অপরাহ্ন
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ॥
ভোলায় পুলিশের সঙ্গে ‘তৌহিদী জনতা’র সংঘর্ষে নিহতের ঘটনার জের ধরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ ও হাটহাজারী মডেল থানা ঘেরাও করেছে হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২০ অক্টোবর) রাতে মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে তারা। বিক্ষোভ শেষে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় তারা হাটহাজারী বাসস্টেশন, হাটহাজারী কলেজ গেট, হাটহাজারী মডেল থানাসহ কয়েকটি স্থানে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে থানার সামনে অবস্থানকারীরা থানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুর চালায়। কয়েকটি ব্যস্ততম সড়কে অবস্থান নেওয়ার কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
এদিকে, রোববার রাতে রাসুল (সা.)-এর কটূক্তিকারী এবং হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। অন্যদিকে, ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের হামলার শিকার হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসির দুই সাংবাদিক। রাত ৮টার পর ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা। পরে তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে সড়ক থেকে সরে যায় তারা। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রোববার সন্ধ্যার দিকে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব জোনায়েদ বাবু নগরী মাদ্রাসাছাত্রদের মাদ্রাসায় ফিরে যেতে নির্দেশ দিলে কিছু ছাত্র ফিরে যায়। তবে হাটহাজারী বাসস্টেশন গোলচত্বর এলাকায় শিক্ষার্থীদের একটি দল সড়কে অবস্থান নিয়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে ব্যস্ততম এই সড়কে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ভয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন অফিসফেরত মানুষসহ স্থানীয়রা। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করতে সেখানে যাওয়া ডিবিসির প্রতিবেদক শহিদুল সুমন ও ক্যামেরাপারসন পারভেজের ওপর লাঠিসোটা ও লোহার রড দিয়ে হামলা চালায় বিক্ষুুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এতে দু’জনই আহত হয়ে পার্শ্ববর্তী একটি পেট্রোল পাম্পে আশ্রয় নেন। এ বিষয়ে কথা বলতে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত সাড়ে আটটার দিকে হাটহাজারী -খাগড়াছড়ি -রাঙ্গামাটি সড়কে কয়েক হাজার তৌহিদি জনতা সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। যান চলাচল ছিল বন্ধ। দুর্ভোগে কয়েক হাজার যাত্রী সাধারন। ঘটনার পরিস্থিতি দেখেতে দ্রুত ছুটে এসেছে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, উত্তর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মসিউদ্দৌলা রেজা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিনেরও ছিল ব্যাপক ভূমিকা।