বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বহুল আলোচিত রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় আগামী ২৭ নভেম্বর ঘোষণা করা হবে। রোববার (১৭ নভেম্বর) আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শেষে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ দিন ধার্য করেন।
আট আসামির যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন মামলার আইনজীবীরা। এরপর ফের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি খণ্ডন করেন। এরপর বিচারক রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। ওই দিনই আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শুরু করেন। যুক্তি উপস্থাপন শুনানি আজ রোববার শেষ হয়। সকালে কারাগার থেকে এ মামলার আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এ মালায় ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে আসামি ২১ জনের মধ্যে ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নিহত ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানে এবং পাঁচ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
অভিযোগপত্রে আট আসামি হলো, হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে রাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। তাদের সবাই কারাগারে রয়েছে।
ঘটনাস্থলে নিহত পাঁচ আসামি হলো, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল। এছাড়া বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানের সময় নিহত ৮ আসামি হলো, তামিম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ার জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিসানে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।