রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
‘ন্যায়বিচার ও নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় দর্শনের শিক্ষা জরুরি’ সিপাহী বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে মুলাদীর সোনামদ্দিন বন্দরে বিএনপির আলোচনা সভা মুলাদীর চর বাটামারা জমির দখল পাচ্ছে না খোরশেদা আক্তার ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের সাথে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাক্ষাৎ মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে মুক্তি চায় আলি আকবার পরিবারবর্গ জলবায়ু পরিবর্তন রোধে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে : উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অর্ন্তবর্তী সরকারের অন্যতম কাজ শহীদ পরিবারকে সহায়তা ও আহতদের পরিপূর্ন চিকিৎসা : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা আবারো এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক যৌথ অভিযানে ভোলায় অস্ত্রসহ দুই ডাকাত আটক

দশম শ্রেণিতে উঠে ফারজানা জানলো সে জেএসসিতে ফেল

সারাদেশ ডেস্ক ॥

নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর এসএসসির ফরম পূরণ করতে গিয়ে ফারজানা আক্তার নামে এক ছাত্রী জানতে পারে সে জেএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছে। এ অবস্থায় সে অনিশ্চত জীবনের সম্মুখীন। ফারজানা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গেড়ামারা সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা। সে উপজেলার চান্দুলিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে।

বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষার্থী এ বিষয়ে বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তাছাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকেও অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ফারজানা আক্তার ২০১৭ সালে গেড়ামারা সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ফল প্রকাশের পর ফারজানা ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মানবিক শাখায় ভর্তি হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নবম শ্রেণিতে তাকে নিবন্ধন করায় এবং বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দশম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। দশম শ্রেণিতে তার ক্লাস রোল ৩০।

গত ১৫ অক্টোবর থেকে নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হলে তাকে ১৪ অক্টোবর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাক স্বাক্ষরিত প্রবেশপত্র দেয়া হয়। নির্বাচনী পরীক্ষায় ফারজানা সকল বিষয়ে উত্তীর্ণও হয়। এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হলে তার কাছ থেকে ফরমপূরণ বাবদ ৪ হাজার ২৫০ টাকা নেয়া হয়। কিন্ত জেএসসি পরীক্ষায় সে ফেল করেছে একথা বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দু’দিন পরে তাকে টাকা ফেরত দেয়। এতে ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন ফারজানা যদি জেএসসি পরীক্ষায় ফেল করেও থাকে তাহলে কিভাবে তাকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হলো। এই ভুলের খেসারত কে দেবে? এ প্রশ্ন এলাকাবাসীর।

এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ফারজানা নামে দশম শ্রেণিতে কামারপাড়া গ্রামের এক ছাত্রী রয়েছে। সে ওই ফারজানার রোল নম্বর দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে বলে দাবি করেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 ithostseba.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com