শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন
নিজেস্ব সংবাদদাতা –
রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত উত্তরা মহিলা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের উদাসীনতাইয় আন্তঃজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালণ হয়নি।
আমাদের প্রতিনিধি জানান, দ্বায় সাড়া একটি নোটিশ দেন মেডিক্যাল কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর রওশন আলী। যে সূচীতে ছিল মহান ভাষা দিবসে সকাল ৬ টা ৩০ মিঃ জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ৬ টা ৪৫ মিঃ এর সময় শহীদ মিনারে পূষ্পমাল্য অর্পণ ও ৯টা ৩০ মিঃ এর সময় ভাষা দিবসের উপর আলোচনা সভা। বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রওশন আলী এবং হাসপাতালের ডিরেক্টর জনাব মূশফিক কেউ উপস্থিত হননি কলেজে। শুধু মাত্র ব্যক্তিগত ভাবে কয়েকজন কলেজের গেইটে অবজ্ঞায় নির্মিত একটি অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। আশপাশের কিছু অবস্থানকারী বাসিন্দা এবংপ্রতিষ্ঠানের অনেকেই নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেছেন,এই উত্তরা মহিলা মেডিক্যাল কলেজে জাতীয় দিবসগুলো তেমন পালন হয় না এবং এই অনুষ্ঠান পালনে আগ্রহও দেখা যায় না।
বিষয়টি নিয়ে আমদের প্রতিনিধি কলেজ অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান খুব ভোরে তিনি এসেছিলেন এবং কাউকে না পেয়ে তিনি চলে গেছেন। খুব ভোর বলতে কয়টায় তিনি এসেছিলেন তা তিনি সঠিক করে বলতে পারেন নি। তার কাছে আরো জানতে চাওয়া হয় তিনি অপেক্ষা না করে চলে গেলেন কেন। তিনি তার সঠিক কারণ ব্যখ্যা করতে পারেন নি। যদিও ভোর ৫ টা ৪৫ মিঃ থেকে আমাদের প্রতিনিধি কলেজের বায়রে উপস্থিত ছিলেন। তিনি অধ্যক্ষ সাহেবের কোন উপস্থিতি দেখতে পাননি। এমনকি অবস্থানরত কর্মকর্তা কর্মচারীরাও শিকার করেছেন অধ্যক্ষ মহান ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কলেজে আসেননি। উপস্থিত অনেকেকেই বলতে শোনা যায় অধ্যক্ষের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এবং জামায়াতী মানষিকতাই এই উদাসীনতার মূল কারণ।
আমাদের প্রতিনিধি মহিলা কলেজের হাসপাতাল বিভাগের ডিরেক্টর জনাব মূশফিকের সাথে সাথে তার অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান , তার আসা সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজগুলোর ডিন জনাব অধ্যাপক শাহারিয়ার শাকিলের দৃষ্টিকর্ষণ করলে তিনি জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। জাতীয় দিবস পালন না করা এবং অবজ্ঞা করা অপরাধ। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
কে এই প্রফেসর রওশন আলী ! জামায়াত অধ্যুষিত গাইবান্দা জেলার সুন্দরগঞ্জে জন্ম তার। পরিবারের প্রায় সবায় জামায়াত মানষিকতার সেই যাত্রায় তিনিও ব্যক্তিক্রম নন। কয়েকদিন আগে উত্তরা মহিলা মেডিক্যাল কলেজের ভর্ত্তি বাণিজ্যে সরাসরি দূর্নীতি করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি অফিসের দরজা আটকে নারী সহকর্মীদের সাথে অবস্থানের মূখরোচক গল্পও চাউর আছে কলেজের কর্মচারীদের মধ্যে।
সংশ্লিষ্ঠ ছাত্রী শিক্ষক অনেকেই মনে করেন অধ্যক্ষের জাতীয় দিবস এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এমন বিরুপ মানষিকতাই ছাত্রীদের তা পালণে এবং মুক্তিযুদ্ধ চর্চ্চায় উদাসীন করে তুলছে।