বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
দেশের আর্থিক খাতের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে যদি অন্তত কিছু অ্যাকশন নেয়া যায় তাহলে অন্যরা সতর্ক হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের অনিয়ম ও আর্থিক খাতের অনিয়মের বিষয়ে আপিল বিভাগের শুনানিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক শাহ আলম এবং খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে আদালত তাদের মতামত শোনেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানিতে আদালতকে বলেন, পিকে হালদার কীভাবে পালিয়ে গেল? এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, আর্থিক খাতের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে যদি অন্তত কিছু অ্যাকশন নেয়া যায় তাহলে অন্যরা সতর্ক হবে। শুনানি শেষে
আদালত আদেশের জন্য বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে এক আবেদনের শুনানিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক শাহ আলম এবং খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে তলব করে আদেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৯টার দিকে তারা আপিল বিভাগে উপস্থিত হন।
গত ২১ জানুয়ারি সাতজন বিনিয়োগকারীর টাকা ফেরত-সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন। আদেশে আদালত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) ২০ জনের সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং পাসপোর্ট আটকানোর নির্দেশ দেন। হাইকোর্ট বলেন, তারা যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন।
পাশাপাশি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি (পিকে হালদারের দখলে থাকা) ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দেন।
আইনজীবীরা জানান, প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক পিকে হালদারসহ ২০ জনের সব সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০ জনের সম্পদের হিসাব ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়।