রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ অপরাহ্ন
নিজেস্ব সংবাদদাতা ॥
রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকার কাওলায় ৪৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছুর রহমান নাঈম ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে জমি জবর দখল ও হত্যার হুমকীর বিরুদ্ধে ইসমাইল হোসেন ( ৪০ ) নামের এক ভুক্তভোগী উত্তরা প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
তথ্য মতে জানা যায়, ইসমাইল হোসেন দিলরুবা বেগমের নিকট থেকে ২.৫ কাঠা জায়গা কিনে দখল বুঝে নেন। তার দুই পাশে অন্য দুইজন জায়গা ক্রয় করেন। সেই জায়গা বিক্রয় করতে দালাল হিসেবে নিয়োজিত হন নাঈমের ভাই নাজমূল। মূলত জায়গার পজিশন সুবিধামত করতে এবং দাম বেশী পেতে মাঝ খান থেকে দখল সরিয়ে রাস্তার উপড় ইসমাইল হোসেনের জায়গা বুঝে নিতে চাপ দেয়। সেই দখল বোইধ করতে জোর করে একটি দখল পরিবর্তন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। সেই চুক্তি গ্রহন না করে নিজের জায়গা চারপাশের সীমানা নিশ্চিত করতে সার্ভেয়ার নিয়ে জায়গা মেপে বুঝে নিতে গেলে নাঈমের ইশারায় নাজমূল, বাবু,হুমায়ূন,কোউশিক আহম্মদ,আঃ বাতেন, শাজাহান ও জহুরুল গং তাকে মেরে ফেলতে ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে ইসমাইল হোসেন থানা পুলিশের কাছে আশ্রয় নেয়। পুলিশ একটি সমঝোতা করে দেয়। ইসমাইল হোসেন সেই সমোঝতার আলোকে নিজের জায়গায় দেওয়াল এবং সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর সেই সাইনবোর্ড কিংবা দেওয়াল কোনটারই অস্থিত্ব ছিল না। যত্রতত্র ইট পরে থাকতে দেখা যায়। এর পর থেকেই চলতে থাকে হত্যা ও গুমের হুমকী ধমকী।
নিরুপায় হয়ে আবার থানা পুলিশের স্মরনাপন্ন হলে থানা পুলিশ সময় লাগবে বলে জানায়। অন্যদিকে এই সুযোগে নাঈম গং জায়গায় নতুন দেওয়াল তুলতে কাজ শুরু করে দেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইসমাইল হোসেন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
ইসমাইল হোসেন আরো উল্লেখ করেন নাঈম ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অস্ত্র সহ গ্রেফতার হয়। অন্যের জায়গা জবর দখল করে ফুলের বাগান করতে গিয়ে চ্যানেল ২৪ এবং সংবাদপত্রের সংবাদ শিরনাম হন। তার বিরুদ্ধে অতীতেও সন্ত্রাস এবং চাদাবাজীর অভিযোগ উল্লেখ করেন। ইসমাইল হোসেন তার জানমালের, নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।