রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
যোবায়ের হোসাইন :
উত্তরা ১৩ নং সেক্টরের গরীবে নেওয়াজ রোডের ১ নং বাড়ীর ৩য় তলায় বিদেশী অনুমোদনহীন হারবাল পন্য গোপনে এমএলএম আকারে বিক্রির অভিযোগ।
সরে জমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিদেশ থেকে অবৈধ পথে আমদানী করা জিওনেস নামক হারবাল পন্য বাংলাদেশে প্রবেশে কোন অনুমোদন নেই। অবৈধ ও অনুমোদনহীন পন্যের গ্রাহক বাড়ানোর জন্য ডায়মন্ড গ্রাহকদের মালোশিয়া ভ্রমনের ভূয়া স্ট্যাটাস দিয়ে ফেসবুকে চালাচ্ছে জোড় প্রচারনা।
অথচ যে কোম্পানীর নামে এ প্রচারনা চালাচ্ছে, ঐ কোম্পানীর কোন ডিলারশীপ বাংলাদেশে নেই। এমনকি ঐ কোম্পানীর পন্য বাংলাদেশে বিক্রিরও অনুমোদন দেয়নি ঐ জিওনেস কোম্পানী।
এবিষয়ে আমরিকায় অবস্থিত জিওনেস কোম্পানীর সাথে প্রতিবেদক যোবায়ের হোসাইন মেসেঞ্জারে তথ্য আদান প্রদান করলে, জিওনেস কোম্পানী থেকে মেসেঞ্জারে প্রতিবেদককে জানানো হয়, কোভিড ১৯ এর কারনে জিওনেস কোম্পানীর সব ধরনের পন্য ক্রয় বিক্রয় বন্ধ রয়েছে। যে কোন অসুস্থতার জন্য কোভিড ১৯ এর পরীক্ষা করানোর জন্য অনুরোধ করা হয়, তাহলে বর্তমান ঐ কোম্পানীর পন্য বিক্রি করে বিদেশ ভ্রমনের সুযোগ আসে কিভাবে। প্রতিবেদক গোগলের বিভিন্ন ওয়েবসাইট অনুসন্ধান করে জিওনেস বাংলাদেশ নামের একটি কোম্পানীর অনুসন্ধান পান। জিওনেস বাংলাদেশের মৌচাক অফিসে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, মিজানুর রহমান নামের ( সাফায়ার ২৫, উপাধি) এক ব্যক্তির সাথে মুঠো ফোনে কথা বল্লে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের কোম্পানীর কোন কার্যক্রম এখনো বাংলাদেশে চালু হয়নি। আমরা মালোশিয়া থেকে পন্য এনে গ্রাহককে দিয়ে থাকি। মালোশিয়া ভ্রমনের বিষয়ে প্রশ্ন করলে, তিনি বিষয়টি ভূয়া বলে জানান এবং প্রতারনা থেকে সাবধান হওয়ার জন্য বলেন।
গুলশান ১ এর ১৩০ নং রোডের ৩০ নং বেলাভেরী নামক বিল্ডিং এর ৪র্থ তলায় জিওনেস কোম্পানীর বাংলাদেশ আঞ্চলিক অফিসের জন্য একটি ফ্ল্যোর নেওয়া হয়েছে, কিন্তু তা এখনো উদ্ভোধন হয়নি বলে মুহিবুল্লা সায়েম নামে জিওনেস বাংলাদেশের একজন প্রস্তাবিত প্রতিনিধি জানান। উক্ত প্রতিনিধি এমএলএম আকারে জিওনেসের পন্য বিক্রির বিষয়ে বলেন, আমাদের কোম্পানী অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু হলে, আমরা জিওনেসের পন্য বাজারজাত করবো। কোন কোর্স বা সেমিনারে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে জিওনেসের পন্য বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। যারা বর্তমানে বাংলাদেশে জিওনেসের পন্য বিক্রি করছে, তারা লাগেজের মাধ্যমে মালোশিয়া থেকে অবৈধ পথে এনে থাকে। তিনি প্রতিবেদককে সতর্ক করে বলেন, উত্তরায় তাদের কোন প্রতিনিধি নেই। কোম্পানীর নামে অনলাইন বা অন্য যে কোন ভাবে কোর্স বা সেমিনার বাংলাদেশের শাখা চালু না হওয়া পর্যন্ত করা যাবেনা। কোন ধরনের প্রতারনায় পা না দেওয়ার জন্য তিনি প্রতিবেদককে আহ্ববান করেন। এ বিষয়ে একাধিক তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সিলভার রবিউল ওরফে রবিউল সরদার মালোশিয়া থেকে আগত শ্রমিকদের লাগেজের মাধ্যমে বাংলাদেশে এ পন্য এনে থাকে। অথচ তারা ফেসবুকে একাধিক বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে জানান দিচ্ছে যে, আনোয়ার, আপরোজা হেলেন ও জিএম শামসুল হক অত্র কোম্পানীর ডায়মন্ড হয়ে মালোশিয়া ভ্রমনে যাচ্ছেন
চলবে…..