বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:১২ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ কর্তৃক ইজারাকৃত আবাসনের জায়গায় নির্মাণ কাজে বাধা, নির্মাণ সামগ্রী চুরি ও চাঁদা দাবীর প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবারের উদ্যোগে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার ৩০শে ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড হোটেল আল জামানের তৃতীয় তলায় মোহাম্মদ সেলিম সিআইপি নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে হাটহাজারীতে কর্মরত সকল সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলার চৌধুরীহাট এলাকার শাহাজালাল স্কুলের পাশে ফতেয়াবাদ আবাসিক প্লটে নির্মাণ কাজ করতে গেলে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে হুমকি দিচ্ছে কতিপয় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা, চাঁদা না দিলে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে বলেও দাবী করেন ভুক্তভোগীরা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আমরা প্রবাসী রেমিডেন্স যােদ্ধা, অবসর প্রাপ্ত সরকারী চাকুরীজীবি, মুক্তিযােদ্ধা ও ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত দুঃখ ভরা ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছি।
আমরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তার মাধ্যমে দেশ ও দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রেখেছি এবং ভবিষ্যৎ অবদান রাখার আগ্রহ আছে। আমাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ মুক্তিযোদ্ধা, প্রধাস হইতে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য সেরা করদাতা, দেশে ব্যবসা বানিজ্য করে দেশের অর্থনীতি ও আর্থ সামাজিক কাঠামাে সঠিক পথে রাখার ব্যক্তিরা রয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, জেলা পরিষদ তাঁহাদের মালিকানাধীন হাটহাজারী থানার অন্তর্গত দক্ষিন পাহাড়তলী মৌজায় ফতেয়াবাদ আবাসিক এলাকায় আবাসিক প্লট নির্মাণ করতঃ তাঁহা বরাদ্দ প্রদান করেন।
উক্ত বরাদ্দকৃত প্লট সমুহ পর্যায়ক্রমে আইনগত প্রক্রিয়ায় যাবতীয় পাওনাদি পরিশােধ পূর্বক আমরা বরাদ্দ প্রাপ্ত হই। পরে জেলা পরিষদের যাবতীয় শর্তাবলি প্রতিপালন পূর্বক পাওনাদি পরিশােধ করিলে ২০১৯ সালের ১৯শে মার্চ স্মারক মুলে আমাদেরকে যার যার প্রাপ্ত প্লট সমুহ নিজেদের নামে নামজারী করে আবাসিক অবকাঠামাে নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নিতে প্রত্যেক প্লট প্রাপক এর বরাবরে চিঠি ইস্যু করেন। জেলা পরিষদের প্রেরিত চিঠির অনুকুলে আমাদের বরাদ্দ প্রাপ্ত প্লট সমুহে অবকাঠামাে নির্মাণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ ও তথাস্তু নির্মাণ সামগ্রী আনয়ন করিলে স্থানীয় সন্ত্রাসী প্রকৃতির কিছু সংখ্যক ব্যক্তি তথাস্তু উপস্থিত হন এবং আমাদেরকে নির্মাণ কাজ করার পূর্বে তাদের সাথে বৈঠক করার জন্য বলেন। অন্যথায় কোন প্রকার নির্মাণ কাজ না করার জন্য হুমকি প্রদান করেন। পরে তাদের সহিত যােগাযােগ করিলে তারা আমাদের নিকট নির্মাণ কাজ শুরু করার পূর্বে বড় অংকের চাঁদা দাবি করেন এবং দাবীকৃত চাঁদা প্রদান না করিলে প্লট সমুহে কোন প্রকার নির্মাণ কাজ না করার জন্য হুমকি দেন। আমরা তাদের এরূপ অন্যায় ও বেআইনি আবদার রক্ষা করা সম্ভব নয় বলে জানালে,
তারা আমাদের উপর ক্ষেপে যায়। চাঁদা না দিলে প্লট সমুহে কোন প্রকার নির্মাণ কাজ করিতে দিবে না বলে আমাদের ও আমাদের লােকজনকে হুমকি প্রদান করেন। চাঁদা না দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করিলে আমাদের লােকজনকে হত্যা করার হুমকি প্রদান করেন। এমনকি আমাদের প্লট সমুহে ভবন নির্মাণের জন্য ইতিপূর্বে যে সকল নির্মাণ সামগ্রী ছিল তাও তারা লুট করে নিয়ে যায়। তাই আমরা তাদের এহেন অন্যায় আবদার রাখতে পারবাে না বলিলে, তাঁহারা আমাদের ও আমাদের লােকজনের উপর ক্ষেপিয়া যান এবং বলেন যে, চাদা না দিলে ভবন নিমণ তাে দুরের কথা! প্লটেই আসতে দেওয়া হবেনা।
তাদের এহেন অন্যায় আচার আচরণ ও আবদারে আমরা ও আমাদের লােকজন ভীত। তাই সন্ত্রাসীদের এরূপ অন্যায় আচার আচরণ ও চাঁদাবাজির আবদার হইতে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আবেদন দায়ের করেছি। এ বিষয়ে গত ২৮শে ডিসেম্বর হাটহাজারী মডেল থানায় সুনির্দিষ্ট ৮জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বলেও জানান বক্তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসাইন চৌধুরী, মোহাম্মদ ইদ্রিস, মোহাম্মদ তৈয়ব, অধ্যক্ষ শেখ শামসুর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন খান, সুলতানা নূরুজ্জামান, এস এম কামাল পাশা, ইন্জিনিয়ার মোহাম্মদ নূরুল আলম ও শাহনাজ বেগমসহ অনেক ভুক্তভোগী।