বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক ।।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে এই হামলা শুরু হয়। রাশিয়া-ইউক্রেনের এই যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দেশটির রাজধানী কিয়েভের প্রান্তে পৌঁছে গেছে রুশ বাহিনী।
শুক্রবার সকাল হতেই আবারও বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হয়ে উঠল ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে। পরপর তিনটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে এই বিস্ফোরণগুলো ঘটে।
এদিকে, যুদ্ধের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার আক্ষেপের সুরে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।এদিন, সকালে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “আজ সকালেও আমরা আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। গতকালের (বৃহস্পতিবার) মতো, আজও বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলো শুধু দূর থেকেই দেখছে।”
এ সময় তিনি রাশিয়ার নৃশংস হামলা থামাতে পশ্চিমা দেশগুলো কাছে সহায়তার আবেদন জানান।
এসময় তিনি আক্ষেপ নিয়ে পশ্চিমাদের প্রশ্ন করে বলেন, “গতকালকের নিষেধাজ্ঞায় কি রাশিয়াকে কনভিন্সড করা গেছে? এটা যে যথেষ্ট ছিল না তা আমরা আমাদের আকাশ ও মাটিতে ঘটা বিস্ফোরণেই বুঝতে পারছি।”
এদিকে, নাগরিকদের উদ্দেশ্যে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এই ভিডিও বার্তায় তিনি ইউক্রেন ও রুশ নাগরিকদের প্রতি রাশিয়াকে যুদ্ধ বিরতির আবেদন জানানোর আহ্বান জানান।
এ সময় রাশিয়ার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “রাশিয়াকে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সেটা এখনই হোক কিংবা পরে। কীভাবে এই শত্রুতা শেষ হবে এবং এই হামলা বন্ধ হবে সে বিষয়ে আমাদের সঙ্গে তাদের আলোচনা করতে হবে।” “তবে এই আলোচনা যত তাড়াতাড়ি শুরু হবে, রাশিয়া ততই কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে,” যোগ করেন জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত এই হামলা বন্ধ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষার কাজ চালিয়ে যাব।”
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, “আমি রাশিয়ার এক নম্বর টার্গেট। দ্বিতীয় টার্গেট হচ্ছে আমার পরিবার। আমি এখনও কিয়েভের সরকারি কোয়ার্টারেই আছি। আমার পরিবারও ইউক্রেনেই আছি।”
তিনি আরও বলেন, “রাজধানীতে হামলা ক্রমেই বাড়ছে। তবে আমি রাজধানী ছেড়ে কোথাও যাব না।” সূত্র: বিবিসি