বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ অপরাহ্ন
নিউইয়র্ক, ২৬ ফেব্রুয়ারি:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের উৎপাদন
প্রযুক্তি ও জ্ঞান অবিলম্বে একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিনিময় করে নেওয়া
উচিত, যাতে বাংলাদেশের মতো ঔষধ উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন দেশগুলো ব্যাপকহারে
ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বিতরণ করতে পারে।
মন্ত্রী গতকাল নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে
‘গ্যালভানাইজিং মোমেন্টাম ফর ইউনিভার্সাল ভ্যাকসিনেশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে
এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, জাতিসংঘ মহাসচিব,
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক এবং জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রী ও সিনিয়র
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কোভিড ভ্যাকসিনকে ‘সার্বজনীন বিশ্ব সম্পদ’ হিসেব বিবেচনা করার জন্য
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশ এবং
উৎপাদনকারীদের অবশ্যই সমতার ভিত্তিতে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে কোভিড-১৯
টিকার বৈশ্বিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী টিকার চাহিদা মেটাতে
এর উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে এবং বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। এছাড়া বিশ্ব সম্প্রদায়কে
টিকা বিষয়ক ভুল তথ্য এবং টিকা জাতীয়করণের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত ১০১
মিলিয়নেরও বেশি মানুষ কোভিড-১৯ টিকার অন্তত একটি ডোজ গ্রহণ করেছেন। কোভিড
অতিমারির কার্যকর মোকাবিলায় জনসংখ্যার অন্তত ৮০% (প্রায় ১৩২ মিলিয়ন) কে অচিরেই
টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে, সবাই নিরাপদ
না হওয়া পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নয়। সর্বজনীন টিকা নিশ্চিত করতে এবং মানুষের জীবন ও
বিশ্ব অর্থনীতি বাঁচাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
একই দিনে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের ইন্দোনেশিয়া লাউঞ্জে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং
কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রীর মধ্যে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কানাডার মন্ত্রী হারজিত সজ্জনকে রোহিঙ্গা সমস্যার চলমান পরিস্থিতি
সম্পর্কে অবহিত করেন এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কানাডার সহযোগিতা প্রত্যাশা
করেন। সজ্জন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কানাডার সমর্থনের আশ্বাস দেন এবং বাস্তুচ্যুত
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা
করেন। কানাডায় পলাতক জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি নূর চৌধুরীকে
দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়েও কানাডা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।