শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজ ।।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন-১৩৮ অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা, যা ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুকে কাজে নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে, কোনো দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় বয়সসীমা ১৪ বছর হতে পারে। তাই বাংলাদেশের জন্য ১৪ বছর উপযুক্ত বলে মনে করেছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
সচিবালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘যে কোনো দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিশুদের বয়সসীমা ১৪ বছর কমিয়ে আনা যেতে পারে, তবে এর চেয়ে কম নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রিসভা বাংলাদেশের জন্য ১৪ বছর উপযুক্ত বলে মনে করে।’
তিনি বলেন, ‘আইএলও কনভেনশন-১৩৮’ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ, বিশ্বের ১৮৯টি দেশের মধ্যে ১৭৩টি দেশ এতে স্বাক্ষর করেছে।’
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘মূল সমস্যা হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করতে সাধারণত ১৫ বছর সময় লাগে এবং সে কারণে ১৫ বছরের কম বয়সী কোনো শিশুকে চাকরি দেওয়া যায় না।’
বিশেষ করে আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য ১৪ বছর উপযুক্ত।’ তিনি বলেন, যেসব শিশুর বয়স ১৪ বা ১৫ বছর, তাদের কোনো অবস্থাতেই ঝুঁকিপূর্ণ বা বিপজ্জনক কাজে নিযুক্ত করা যাবে না।’
‘শিশুরা এমন কার্যকলাপে জড়িত হতে পারে না, যা দুর্ঘটনা বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই বয়সের শিশুরা চাকরি করলেও তাদের প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিবেচনা করা যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের বিয়ে বা অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না এবং এই বয়সে যে কেউ অপরাধ করবে তাকে শিশু অপরাধী বলে গণ্য করা হবে।’
১৪ বা ১৫ বছরের কম বয়সী কোনো শিশুকে চাকরি দিলে কী শাস্তি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘শ্রম আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।’