শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক নিউজ ।।
চীনের বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ১৩২ জন আরোহী নিয়ে দেশটির গুয়াংশি প্রদেশে বিধ্বস্ত হয়েছে। সোমবার সকালের দিকে গুয়াংশির পাহাড়ে এই বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বিমানের আরোহীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে আসা ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই সেটিতে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ব্যাপক ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে চীনা গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দুর্ঘনার শিকার বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের। সেটি গুয়াংশি অঞ্চলের পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। সিসিটিভি বলেছে, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত ওই বিমানে ১৩৩ জন আরোহী ছিলেন। গুয়াংশির উঝৌ এলাকার তেং কাউন্টির পাহাড়ে সেটি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমান বিধ্বস্তের পর পাহাড়ে আগুন ধরে যায়।
চীনের বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রশাসন (সিএএসি) বলেছে, উঝৌর আকাশে থাকাকালীন বিমানটির সঙ্গে রাডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানটিতে ১২৩ জন যাত্রী এবং ৯ জন ক্রু ছিলেন। যদিও চীনের সরকারি গণমাধ্যমের খবরে বিধ্বস্ত বিমানে ১৩৩ জন ছিলেন বলে জানানো হয়েছে।
ফ্লাইটরাডার২৪ এর তথ্য অনুযায়ী, ৬ বছর ধরে যাত্রীসেবা দিয়ে আসা ৭৩৭-৮০০ বিমানটির বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোনো কিছু জানা যায়নি।
ফ্লাইট ট্র্যাকার এই ওয়েবসাইট বলছে, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বিমানটি গুয়াংঝু যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেলা ১টা ১১মিনিটে কুনমিং থেকে উড্ডয়ন করেছিল। বিমানটির সর্বশেষ অবস্থান শনাক্ত হয়েছিল ২টা ২২মিনিটে। সেই সময় গুয়াংশির উঝৌ এলাকার আকাশে ৩ হাজার ২২৫ ফুট উচ্চতায় ঘণ্টায় ৬৯৬ কিলোমিটার (৩৭৬ নট) গতিবেগে বিমানটি চলছিল।
ফ্লাইটরাডার২৪ বলছে, গুয়াংঝুর বিমানবন্দরে শতাধিক যাত্রীবাহী এই বিমানের অবতরণের সময় নির্ধারিত ছিল স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫মিনিট।
গত এক দশকে বিশ্বের অন্যতম সেরা নিরাপত্তার রেকর্ড ধরে রেখেছে চীনের বিমান পরিবহন শিল্প। এভিয়েশন সেইফটি নেটওয়ার্কের তথ্য বলছে, চীনে সর্বশেষ প্রাণঘাতী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছিল ২০১০ সালে। ওই সময় হেনান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী এমব্রায়ের ই-১৯০ বিমান বিধ্বস্তে অন্তত ৪৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।