সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩১ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজ ।।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে বিএনপি’র
আন্দোলন বা অনশন করা শোভা পায় না বরং তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত। পত্রপত্রিকা ও রেকর্ড
থেকে প্রমাণ দিয়ে বলতে পারি, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশে প্রতিবছরই মঙ্গা হয়েছে।
লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন চর, নদীভাঙন এলাকায় প্রতিদিন
মানুষ না খেয়ে থেকেছে। প্রায় প্রতিদিনই মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। অন্যদিকে গত ১৩ বছরে
আওয়ামীলীগের আমলে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। কোন মানুষ না খেয়ে মারা যাবেনা।
আজ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক
সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বিএনপিজোট, তথাকথিত সুশীল সমাজ ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি
খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ফায়দা নেয়ার অপচেষ্টা করছে। ১৯৭৪ সালে এই
অপশক্তি কুড়িগ্রামের বাসন্তীকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জাল পরিয়ে দুর্ভিক্ষের অপপ্রচার
ছড়িয়ে বিশ্বে দেশের ও বঙ্গবন্ধুর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছিল। তেমনিভাবে বিএনপিসহ এই অপশক্তি
দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার ছড়াতে চাইছে। ক্ষমতার জন্য ‘বাসন্তী প্লট’ তৈরি ও তা
প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এ সুযোগ আর তারা পাবে না, দেশের মানুষ
আর বিভ্রান্ত হবে না।
কিছু নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও দেশে খাদ্যের কোন সংকট নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো
বলেন, করোনা ও ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সম্প্রতি নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু
খাদ্যের কোন সংকট নেই। দেশে খাদ্য নিয়ে এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যার জন্য অনশন,
মানববন্ধন বা হরতাল করতে হবে। মোটা চালের দাম গত ২ মাস বাড়েনি। পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী ও
আলুর দাম কম, কৃষকেরা দাম বাড়াতে চাপ দিচ্ছে। রোজা শুরু হচ্ছে, বেগুনের দামও স্থিতিশীল।
তারপরও বর্তমান সরকার মানুষের কষ্ট লাঘবে ১ কোটি পরিবারকে কমমূল্যে নিত্যপণ্য দেয়াসহ
নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফলে খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য মির্জা
আজম, বন এবং পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক
শামসুন নাহার চাঁপা, উদ্বোধক হিসেবে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান
ফারুক, প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম সম্মেলনে
বক্তব্য রাখেন। সভাপতিত্ব করেন ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুনার রশিদ
হীরা।