রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
‘ন্যায়বিচার ও নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় দর্শনের শিক্ষা জরুরি’ সিপাহী বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে মুলাদীর সোনামদ্দিন বন্দরে বিএনপির আলোচনা সভা মুলাদীর চর বাটামারা জমির দখল পাচ্ছে না খোরশেদা আক্তার ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের সাথে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাক্ষাৎ মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে মুক্তি চায় আলি আকবার পরিবারবর্গ জলবায়ু পরিবর্তন রোধে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে : উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অর্ন্তবর্তী সরকারের অন্যতম কাজ শহীদ পরিবারকে সহায়তা ও আহতদের পরিপূর্ন চিকিৎসা : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা আবারো এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক যৌথ অভিযানে ভোলায় অস্ত্রসহ দুই ডাকাত আটক

নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে যাচ্ছেন জেলেরা

প্রতিনিধি, ভোলা

ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বাড়াতে দীর্ঘ ৬৫ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। আনন্দ ও উৎসাহ নিয়ে দল বেঁধে একে একে সাগরে মাছ শিকারে যাচ্ছেন ভোলার জেলেরা। প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরে তীরে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন তারা।

রোববার (২৪ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভোলার দৌলতখান উপজেলার চৌকি, ভবানীপুরসহ বিভিন্ন মৎস্য ঘাটের জেলেরা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সকাল থেকে ট্রলারে জালসহ মাছ শিকারের সব সরঞ্জাম তুলছেন। আবার কোনো কোনো জেলে সাগরে মাছ শিকার যাওয়ার জন্য ২০ থেকে ২৫ দিনের চাল, ডালসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীও তুলছেন।

জেলে মো. আমির মাঝি ও নজরুল মাঝি বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে আমরা সাগর থেকে ট্রলার নিয়ে তীরে ফিরে এসেছি। ৬৫ দিন আমরা অলস সময় কাটিয়েছি। আয় রোজগার না থাকায় অনেকটাই কষ্টে দিন কাটিয়েছি। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষে দুপুরে আবারও সাগরে মাছ শিকারে যাচ্ছি। এজন্য ২০ দিনের চাল, ডাল, কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন খাবার ও ওষুধ সামগ্রী নিয়েছি। আশা করছি এবার সাগরে গিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ শিকার করতে পারবো। আর ৬৫ দিনের ধার-দেনা ও অভাব দূর হয়ে যাবে।

জেলে হোসেন মাঝি ও আকবর মাঝি বলেন, নিষেধাজ্ঞার ৬৫ দিনে আমরা ব্যাংক ও এনজিওর কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারিনি। আজ সাগরে মাছ শিকারের জন্য যাবো। ১০ দিন পর ফিরে এসে সব দেনা পরিশোধ করবো।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জাগো নিউজকে বলেন, ইলিশসহ প্রায় ৫০০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত সাগরে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এবার নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা উৎসাহ নিয়ে সাগরের মাছ শিকারের জন্য যাচ্ছে। আশা করছি জেলেরা সাগরে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ মাছ শিকার করে বিগত দিনের লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, ভোলার সাত উপজেলায় শুধু সাগরে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন এমন প্রায় ৬৪ হাজার জেলের সরকারিভাবে নিবন্ধন রয়েছে। আর নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারিভাবে ৮৬ কেজি করে ওই জেলেদের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।

 

কাগজের সংবাদ/মেহেদী হাসান

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 ithostseba.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com