বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৭ অপরাহ্ন
মাহবুবুর রহমান তুহিন :
শিক্ষা চেতনাকে শাণিত করে, চিন্তাকে প্রখর করে, বিবেককে জাগ্রত করে। আত্মিক মুক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের সোপান শিক্ষা। জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির সোপান শিক্ষা। আলোকিত আগামী ও অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণের হাতিয়ার শিক্ষা। আর শিক্ষার ভিত নির্মিত হয় প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে। সাক্ষরতাই প্রাথমিক শিক্ষার মূলভিত্তি এবং প্রাথমিক শিক্ষা হলো একটি দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নের চাবিকাঠি। আর সাক্ষরতা হলো এর চালিকাশক্তি।
মানুষের অনেকগুলো মৌলিক অধিকার রয়েছে এর মধ্যে অন্যতমে হচ্ছে শিক্ষা। একটি দেশের শিক্ষার হার নির্ধারণ করা হয় সাক্ষরতার হার হতে। সাক্ষরতা এবং উন্নয়ন একই সূত্রে গাঁথা। সাক্ষরতাই টেকসই সমাজ উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি। টেকসই সমাজ গঠনের জন্য যে জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োজন তা সাক্ষরতার মাধ্যমেই অর্জিত হয়।
অক্ষরের সমাহারে স্বাক্ষর সাজিয়ে নিরক্ষরতাকে নির্বাসনে পাঠানোর প্রত্যয়ে ০৮ সেপ্টেম্বর প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পালিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। UNESCO কর্তৃক নির্ধারিত আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের এবারের থিম “Promoting literacy for a world in transition: Building the foundation for sustainable and peaceful societies.” যা বাংলায় মূলভাব “পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার” সাক্ষরতা বলতে শুধৃ অক্ষরজ্ঞান বা স্বাক্ষর করতে পারা নয়। ‘সাক্ষরতা’ বলতে মাতৃভাষায় পড়তে পারা, অনুধাবন করা, মৌখিকভাবে এবং লিখিতভাবে বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করতে পারা, যোগাযোগ স্থাপন করতে পারা এবং গণনা করতে পারা। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার পাঁচটি স্তম্ভ-মানুষ, গ্রহ, উন্নয়ন, শান্তি ও অংশীদারিত্ব এগুলোর মাঝে পারস্পরিক যোগসূত্র, পরম্পরা, নির্ভরশীলতা, অবিচ্ছেদ্যতা অনেকাংশেই সাক্ষরতার ওপর নির্ভরশীল। কারণ একজন স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিই- ব্যক্তি, সমাজ, দেশ ও মানুষের উন্নয়নে সঠিকভাবে ভাবনা ও চিন্তার স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করতে পারে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর প্রজ্ঞা, মেধা আর দূরদর্শিতা দিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন যে, সদ্য স্বাধীন দেশে মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে হলে জাতিকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হবে। তাই তিনি শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করে সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করেন। সাক্ষরতা বিস্তারে আন্তর্জাতিক ফোরামের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন তৎকালীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তর (DNFE) প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা প্রদান করেছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ সরকার ইউনেস্কো কর্তৃক প্রদত্ত “আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা পুরস্কার” লাভ করে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।
সাক্ষরতা অর্জনের মাধ্যমে মানুষের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি পায়, মানুষ সচেতন হয়, স্বনির্ভর হয়, দেশে জন্মহার এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যূর হার হ্রাস পায়, স্বাস্থ্য সূচকের উন্নয়ন ঘটে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটে। সর্বোপরি পরিবার, একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে সাক্ষরতার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর “Report on Bangladesh Sample Vital Statistics 2022” সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশের বর্তমান সাক্ষরতার হার ৭৬.০৮% সাত বছর ও তদূর্ধ্ব । বর্তমান সরকারের নানামুখী কর্মসূচির কারণে পূর্বের তুলনায় সাক্ষরতার হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনও প্রায় ২৩.২% জনগোষ্ঠি নিরক্ষর। এসকল নিরক্ষর জনগোষ্ঠিকে সাক্ষর করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভবপর নয়। শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত জনগোষ্ঠিকে সাক্ষরজ্ঞানদান, জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকায়ন, দক্ষ মানবসম্পদে পরিণতকরণ, আত্ম-কর্মসংস্থানের যোগ্যতাসৃষ্টিকরণ এবং বিদ্যালয় বহির্ভূত ও ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার বিকল্প সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সরকার উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪ প্রণয়ন করেছে। এ আইন অনুযায়ী উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার শ্রেণিবিভাগ ও বয়স-সীমা নিম্নরূপ:
উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা; এবং উপানুষ্ঠানিক বয়স্ক ও জীবনব্যাপী শিক্ষা। উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা ৮-১৪ বছর বয়সের শিশু যারা কখনো স্কুলে যায়নি বা প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পূর্বেই স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে।
উপানুষ্ঠানিক বয়স্ক ও জীবনব্যাপী শিক্ষা ১৫ (পনের) ও তদূর্ধ্ব বয়সের নারী-পুরুষ, যারা কখনো স্কুলে যায়নি বা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছে বা নব্য সাক্ষর হয়েছে বা চাহিদাভিত্তিক জীবন-দক্ষতা ও জীবিকায়ন-দক্ষতা অর্জন অব্যাহত রাখতে চায়।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪ এর ১৫(১) ধারায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠার বিধান রাখা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে বোর্ডের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে বোর্ডের জনবল কাঠামো সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বোর্ডের মাধ্যমে সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান যারা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে জড়িত তাদের প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন, শিক্ষকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিরূপণ, শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরীক্ষা গ্রহণ ও সনদ প্রদান করা হবে।
বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG4) অর্জনের জন্য সরকার ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০২১-২০২৫) উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা খাতের জন্য নিম্নবর্ণিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে-
৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা:
(১) ৩৩.৭৯ মিলিয়ন কিশোর-কিশোরী ও বয়স্ক নিরক্ষর জনগোষ্ঠিকে মৌলিক সাক্ষরতা প্রদান করা;
(২) মৌলিক সাক্ষরতা অর্জনকারী ৫ মিলিয়ন নব্যসাক্ষরকে কার্যকর দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান করা;
(৩) উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ডকে কার্যকর করা।
আপনারা অবগত আছেন আমাদের সরকার দেশের ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ২৪৮টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৪.৬০ লক্ষ নিরক্ষরকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে ‘মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা)’ বাস্তবায়ন কার্যক্রম ৩০ জুন ২০২২ তারিখে সম্পন্ন করা হয়েছে। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৪ (পিইডিপি ৪) এর আওতায় ‘বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের জন্য উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা’ কর্মসূচি: সকল শিশুর জন্য মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪)’ বাস্তবায়ন করছে। পিইডিপি-৪-এর সাব-কম্পোনেন্ট ২.৫ এর আওতায় ৮ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত বয়সী বিদ্যালয় হতে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী এবং যারা কখনও স্কুলে ভর্তি হয়নি এরূপ ১০ লক্ষ শিশুর মধ্যে ১ লক্ষ শিশুর শিক্ষাদান (পাইলট কর্মসূচির মাধ্যমে ৬টি জেলায়) সমাপ্ত হয়েছে এবং প্রায় ০৯ (নয়) লক্ষ শিশুর শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম চলমান আছে। উপবৃত্তি: চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় ইতোমধ্যে ৫৭২২৭০জন শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে এবং এ খাতে মোট ১৫৭৮২.৩৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে, গ্রামাঞ্চলে ছাত্র প্রতি মাসিক উপবৃত্তির হার-১২০/- টাকা এবং শহরাঞ্চলে ছাত্র প্রতি মাসিক উপবৃত্তির হার ৩০০/- টাকা।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা:
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গতিশীল নেতৃত্বে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে দেশের সুবিধাবঞ্চিত নিরক্ষর জনগোষ্ঠিকে মৌলিক শিক্ষাসহ দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে দক্ষ মানবসম্পদে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ব্যুরোর ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ব্যুরোর জনবল কাঠামো শক্তিশালীকরণ, ব্যুরোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সক্ষমতার আলোকে নিয়মিত কার্যক্রম (Regular Operational Activities) গ্রহণ ও বাস্তবায়ন ইত্যাদি বিষয় কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার লক্ষ্যদলের জন্য উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা, সাক্ষরতা দক্ষতা ও বাজার চাহিদা অনুযায়ী জীবিকায়নের দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে, যার মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করা সম্ভব হবে।
‘বিদ্যালয় বহির্ভুত কিশোর-কিশোরীদের জন্য দক্ষতা কেন্দ্রিক সাক্ষরতা’ পাইলট প্রকল্প প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো’র আওতায় জিপিই এর আর্থিক এবং ইউনিসেফ এর কারিগরি সহায়তায় কক্সবাজার জেলায় ১৪-১৮ বছর বয়সী “বিদ্যালয় বহির্ভুত কিশোর-কিশোরীদের জন্য দক্ষতা কেন্দ্রিক সাক্ষরতা” পাইলট প্রকল্পের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ আগস্ট ২০২৩ থেকে জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত। এ প্রকল্পের আওতায় ৬,৮২৫ জন কিশোর-কিশোরীদের দক্ষতা কেন্দ্রিক সাক্ষরতা প্রদান করা হবে এবং কর্মসংস্থানের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হবে। পাইলট প্রকল্পটি সফল হলে সমগ্র দেশব্যাপী “বিদ্যালয় বহির্ভুত কিশোর-কিশোরীদের জন্য দক্ষতা কেন্দ্রিক সাক্ষরতা” কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য সবার আগে প্রয়োজন সাক্ষরতাজ্ঞান। দেশের সকল মানুষকে সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করা গেলে ডিজিটাল প্রযুক্তি মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে। দেশের নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষরতা জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে মানবসম্পদে পরিণত করার দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গকেও এগিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়ে লেখনীর মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য আমি সাংবাদিক ভাই ও বোনদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এবং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন এবং একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ।
লেখক: সিনিয়ির তথ্য অফিসার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণলয়