শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
সিপাহী বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে মুলাদীর সোনামদ্দিন বন্দরে বিএনপির আলোচনা সভা মুলাদীর চর বাটামারা জমির দখল পাচ্ছে না খোরশেদা আক্তার ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের সাথে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাক্ষাৎ মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে মুক্তি চায় আলি আকবার পরিবারবর্গ জলবায়ু পরিবর্তন রোধে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে : উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অর্ন্তবর্তী সরকারের অন্যতম কাজ শহীদ পরিবারকে সহায়তা ও আহতদের পরিপূর্ন চিকিৎসা : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা আবারো এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক যৌথ অভিযানে ভোলায় অস্ত্রসহ দুই ডাকাত আটক নারীর প্রতি সহিংসতা সামজিক ব্যাধি দুর করতে হবে : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

পানিশূন্য গাজা,গাজাবাসীর জন্য ‘জীবন-মরণের ব্যাপার’ : জাতিসংঘ

অনলাইন ডেস্ক

 

ইসরায়েলি অবরোধের কারণে ক্রমেই পানিশূন্য হয়ে পড়ছে গাজা। জীবনযাত্রা ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে গাজাবাসীর জন্য। এই অবস্থাকে গাজাবাসীর জন্য ‘জীবন-মরণের ব্যাপার’ বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘ। গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলার পরপরই প্রতিক্রিয়া হিসেবে গাজায় অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, পানি সবই বন্ধ করে দেয় দেশটি।

এই অবস্থায় তৃষ্ণা নিবারণ ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে গাজাবাসীরা বাধ্য হয়ে সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি কুয়া খনন করছে। বাধ্য হয়েই লবণাক্ত পানিই ব্যবহার করতে হচ্ছে তাদের। এর বাইরে গাজাবাসীর আরেকটি উৎস রয়েছে পানির। সেটি হলো গাজার একমাত্র স্বাদু পানির অ্যাকুইফার। অ্যাকুইফার হলো একধরনের ভূগর্ভস্থ বিশাল জলাধার। কিন্তু গাজার পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা ও সমুদ্রের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে সেই অ্যাকুইফারের পানিও অনেকটাই লবণাক্ত।

জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা গতকাল সোমবার জানিয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় গাজার কেন্দ্রীয় অঞ্চল ছেড়ে আড়াই লাখ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে। তিনি বলেন, এসব আশ্রয়কেন্দ্রের অধিকাংশই হলো জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুল। এসব অবকাঠামোর অধিকাংশই পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় গত রোববার ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় আংশিক পানি সরবরাহের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। কিন্তু হামাস বলেছে, ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত স্রেফ লোক দেখানো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই গাজায় পানির সংকট এতটাই বেশি যে গাজাবাসী দীর্ঘদিন ধরেই তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিদিন যে পরিমাণ পানি প্রয়োজন তা পাচ্ছে না। প্রত্যেক ইসরায়েলি যেখানে প্রতিদিন ২৪০ থেকে ৩০০ লিটার পানি ব্যবহার করে, সেখানে গাজাবাসী প্রতিদিন পানি ব্যবহার করছে মাত্র ৮৩ দশমিক ১ লিটার।

ভূমধ্যসাগরের উপকূলরেখা বরাবর ইসরায়েল থেকে শুরু করে গাজা হয়ে মিসরের সিনাই উপত্যকা পর্যন্ত টানা একটি অ্যাকুইফার বেসিন রয়েছে। কিন্তু চাইলেই এই অ্যাকুইফারের পানি ব্যবহার করা যায় না। এই অ্যাকুইফার বেসিন থেকে পানিপ্রাপ্তির বিষয়টি নিয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করা হয় লন্ডন থেকে প্রকাশিত জার্নাল ‘ওয়াটারে’। নিবন্ধে বলা হয়, এই অ্যাকুইফারের পানির গুণগত মান খুব দ্রুতই পরিবর্তিত হয়। কারণ গাজাবাসীর একমাত্র পানির উৎস হওয়ায় এখান থেকে যে পরিমাণ পানি উত্তোলন করা হয়, বৃষ্টির পানি সেই পরিমাণ পানি অ্যাকুইফারে দিতে পারে না।

এর বাইরে সেই অ্যাকুইফারের পানি অনিরাপদ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে আরও দূষিত হয়ে ওঠে। ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠন বিটি সালেমের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই অ্যাকুইফার থেকে ওঠানো ৯৬ দশমিক ২ শতাংশ পানিই পানের অযোগ্য। সব মিলিয়ে ৯৭ শতাংশ গাজাবাসীকে সুপেয় পানির জন্য ছোট আকারে পানির ট্যাংকারের ওপর নির্ভর করতে হয়। আবার সৌরবিদ্যুৎ-চালিত কিছু পানি পরিশোধন কেন্দ্র থেকেও সামান্য পরিমাণ সুপেয় পানির ব্যবস্থা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 ithostseba.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com