শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
নাজির পুরে ধান ক্ষেতের সীমানা নিয়ে কথা কাটাকাটিতে মারামারি ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন চৌধুরী ও তার পরিবারের নামে অপপ্রচারের অভিযোগে থানায় জিডি ‘ন্যায়বিচার ও নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় দর্শনের শিক্ষা জরুরি’ সিপাহী বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে মুলাদীর সোনামদ্দিন বন্দরে বিএনপির আলোচনা সভা মুলাদীর চর বাটামারা জমির দখল পাচ্ছে না খোরশেদা আক্তার ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের সাথে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাক্ষাৎ মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে মুক্তি চায় আলি আকবার পরিবারবর্গ জলবায়ু পরিবর্তন রোধে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে : উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অর্ন্তবর্তী সরকারের অন্যতম কাজ শহীদ পরিবারকে সহায়তা ও আহতদের পরিপূর্ন চিকিৎসা : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

হরতালেও চলছে না দূরপাল্লার বাস

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

পঞ্চম দফা অবরোধ শেষে দুদিনের হরতাল কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো। অবরোধের ন্যায় হরতালের মধ্যেও আতঙ্ক আর যাত্রী সংকটের কারণে চলছে না দূরপাল্লার বাস। রাজধানীতে গণপরিবহন চললেও সংখ্যায় কম। অফিস খোলা থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে অফিসগামী যাত্রীদের।

রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল, গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে চাপ কম যানবাহনের। পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও যানবাহনের চাপ নেই সিগন্যালগুলোতে।

টেকনিক্যাল মোড়ে কথা হয় উত্তরাগামী যাত্রী আফজালের সঙ্গে। তিনি বলেন, সাভার থেকে ছেড়ে আসা বাস থেকে টেকনিক্যালে নেমেছি। উত্তরা যাওয়ার মতো সরাসরি কোনো বাস পাচ্ছি না এখানে। অপেক্ষা করছি।

দেড় ঘণ্টায় সরেজমিনে দেখা যায়, ইতিহাস, ডি-লিংক, সেলফি, রাজধানী, বৈশাখী, এসবি লিঙ্ক, সাভার পরিবহন, ঠিকানা পরিবহনসহ বেশ কিছু বাস চলাচল করছে। সেসব বাসে ঠাসা যাত্রী। নতুন যাত্রী তোলার মতো অবস্থা নেই।

তবে গণপরিবহনের তুলনায় অন্যান্য যানবাহন বেশি চলাচল করতে দেখা যায় সড়কে। এরমধ্যে রয়েছে, ট্রাক, পিকআপ, মিনি ট্রাক, ময়লার গাড়ি, সিমেন্ট কোম্পানির গাড়ি, লরিসহ পণ্যবাহী পরিবহন।

গাবতলী পর্বতা সিগন্যালে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল জাকির হোসেন জানান, ভোরে ও সকালে কিছু দূরপাল্লার বাস ঢাকায় ঢুকতে দেখা গেছে। এরপর আর চলছে না দূরপাল্লার কোনো বাস। যেসব বাস চলাচল করছে এসব আন্তঃজেলা ও সাভার থেকে ঢাকার ভেতরে চলাচল করে। এর সংখ্যাও আজ কম। এই সিগন্যালে সাধারণ সময়ে নিঃশ্বাস নেওয়া যায় না। এতো ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। সেসবের কিছুই নেই আজ।

অনেকক্ষণ পর একটি মোটরসাইকেলে ওঠেন সোহরাব আলী নামে এক যাত্রী। তিনি বলেন, অফিস বন্ধ থাকলে না ঠিক ছিল। হরতালে অফিস খোলা। গুলশান যাওয়ার মতো কোনো বাসের দেখা পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে রাইডে মোটরসাইকেলে ওঠা। আমার মতোই দশা অন্য সাধারণ যাত্রীদের।

রাত থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে পিকেটিং, বাসসহ পরিবহন পোড়ানোর মতো ঘটনা। যার প্রভাবে খা খা করছে গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল।

সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বেশিরভাগ কাউন্টারই খোলা। কিন্তু টিকিট বেচাবিক্রি নেই। কাউন্টারে নেই যাত্রী। হাঁকডাক নেই কাউন্টারগুলোতে। অনেক বাস কাউন্টার দেখা গেছে বন্ধ।

কমফোর্ট লাইন (প্রা.) লিমিটেডের কাউন্টার মাস্টার মোহাম্মদ সুমন বলেন, যাত্রী না থাকার কারণে আমরা বাস ছাড়তে পারছি না। আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। প্রতিদিন বাসের স্টাফ, চালকদের বেতন দেওয়া লাগে।

পূর্বাসা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, আজকে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রী বাস কাউন্টারে দেখা যায়নি। যাত্রী হলে আমরা অবশ্যই বাস ছাড়বো।

সূর্যমুখী পরিবহনের ম্যানেজার সারওয়ার হোসেন বলেন, সকাল থেকে বসে আছি। যাত্রীর দেখা নেই। একটি বাস ছাড়তে হলে অন্তত ১৫/২০ জন যাত্রী লাগে। অবরোধ-হরতালে ক্ষতিটা বেশি পরিবহন শ্রমিকদের।

নেত্রকোণা যাওয়ার উদ্দেশ্যে কাউন্টারে আসা হাবিব রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, ঢাকায় থাকি, বাড়িতে পরিবার। বউ অসুস্থতার খবর পেয়ে গাবতলীতে আসি। জানি হরতাল। তবুও যদি যায় কোনো বাস। এই আশা নিয়ে আসছিলাম কাউন্টারে। বাস থাকলেও যাচ্ছে না।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 ithostseba.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com