বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ২৪ জন জিম্মিকে ছেড়ে দিয়েছে হামাস। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ২৪ জনের মধ্যে ১৩ জন ইসরায়েল, ১০ জন থাইল্যান্ড এবং ১ জন ফিলিপাইনের নাগরিক। মুক্তিপ্রাপ্তরা সবাই নারী ও শিশু। ৪টি গাড়িতে করে এসব জিম্মিদের নিয়ে যাওয়া হয় গাজা ও মিসরের সীমান্তপথ রাফাহ বর্ডার ক্রসিংয়ে। সেখানে আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট কমিটির (আইসিআরসি) প্রতিনিধিদের কাছে জিম্মিদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তির খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীও (আইডিএফ)।
আইডিএফের কর্মকর্তারা বলেছেন, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪ শিশু, তাদের ৪ জন মা এবং ৫ জন বয়স্ক নারী রয়েছেন। ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশের পর এই ১৩ জনের প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। তারপর পাঠানো হবে বিভিন্ন হাসপাতালে। জিম্মিদের স্বজনরা সেসব হাসপতালে তাদের জন্য অপেক্ষা করছেন।
জিম্মিরা মুক্ত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক এক বার্তায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা কেবল জিম্মিদের প্রথম ব্যাচকে মুক্ত করতে পেরেছি। এরা সবাই শিশু, তাদের মা এবং অন্যান্য নারীরা। তারা প্রত্যেকে নিজেই এক একটি পৃথিবী। ’
এই যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজায় জিম্মি বাকি সব ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন নেতানিয়াহু। বলেন, আমি ইসরায়েলের প্রত্যেক নাগরিক এবং জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের জোর দিয়ে বলছি, আমরা প্রত্যেক জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সেই প্রতিশ্রুতি আমরা রক্ষা করব। ’
অন্যদিকে, শুক্রবার ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৩৯ ফিলিস্তিনিকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি।
জানা গেছে, মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিরা ওফার কারাগারে বন্দি ছিলেন। এসব ফিলিস্তিনিকে কারাগার থেকে বের করার আগে সেখানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করে ইসরায়েলি পুলিশ।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, চারদিনে ৫০ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। অন্যদিকে ইসরায়েল ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।
যুদ্ধবিরতির প্রথমদিন ১৩ জনকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও ২৫ জনকে ছেড়ে দিয়েছে হামাস।
আশা করা হচ্ছে, দুই শক্তির এ চুক্তি আরও বাড়বে।