শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
রমজানের আগে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এবং এক লাখ টন চিনি বাংলাদেশে আনার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিল্লি সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাছান মাহমুদ বৈঠকে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা প্রত্যাহার এবং বিশেষ করে রমজান মাসে মূল্য স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পীযূষ গোয়ালকে অনুরোধ করেন।
তারা পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য, সংযোগ, বিদ্যুৎ, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, পানি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর জোর দেন তারা।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমানও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দেশটিতে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার দুপুরে নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে এ সাক্ষাৎ করেন তিনি।
হাছান মাহমুদের তিন দিনের এ সরকারি সফরের সমাপ্তি দিনে ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎটি ছিল আন্তরিকতাপূর্ণ। সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে জানান, ‘অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে আমি বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং এমন একজন স্ট্রং লেডি, যিনি পর পর চারবার এবং পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন, সেজন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কাজ করছেন, সেটির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন তিনি।’
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমি তাকে বলেছি যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছু দিন আগে বলেছেন জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে কেন একজন মহিলাকে দেখতে পাই না? দেখতে চাই। তিনি (দ্রৌপদী মুর্মু) সেটির সঙ্গেও ঐকমত্য পোষণ করে বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির সঙ্গে ভারত সবসময় ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।’
২০২২ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থিতা থেকে নির্বাচিত ভারতের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে প্রথম এবং ভারতের দ্বিতীয় নারী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সমাজের অবহেলিত অংশের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের জন্য খ্যাত। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি ঝাড়খণ্ডের গভর্নর, উড়িষ্যার মিনিস্টার অব স্টেট এবং উড়িষ্যার লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির সদস্য (এমএলএ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এর আগে ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। দিল্লিতে নতুন পার্লামেন্ট ভবনে এই সাক্ষাতে ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ এবং এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। রাজ্যসভার লিডার অব দ্য হাউজ এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়াল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।