শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
খুলনা জিআরপি থানায় মাদক মামলার সেই নারী আসামিকে মারপিট করার অভিযোগের সত্যতা মিললেও তাকে ধর্ষণের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। সোমবার সকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানানো হয়েছে। তবে ভিকটিম কোথায় আছেন তা বলছে না তার পরিবারের সদস্যরা।
প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, গত ২/৮/২০১৯ তারিখ বেনাপোল-খুলনাগামী ট্রেনের ভেতর থেকে ওই নারীকে ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করে খুলনা রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে রাতে থানা হাজতে রাখা হয়। ওই দিন রাতে খুলনা রেলওয়ে থানার ওসি উছমান গনি পাঠানসহ ৫ জন পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামিকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে মর্মে আসামি নিজে বাদী হয়ে সাবেক অফিসার ইনচার্জ উছমান পাঠানসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
পরে আদালতের আদেশে ওই ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে খুলনা রেলওয়ে থানার মামলা নং-০৩, তাং- ৯/৮/২০১৯ ধারা-২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ১৫(১) রুজু হয় এবং ৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষার নির্দেশ প্রদান করেন। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেল) ফিরোজ আহমেদ তদন্তকালে গত ২৩/০৯/২০১৯ তারিখ আসামি ওই নারী বাদী হয়ে উছমান গনি পাঠানসহ ৫ জন পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে অত্র মামলা দায়ের করলে খুলনা রেলওয়ে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু পূর্বক পিবিআই খুলনাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ আবু বকর মামলাটি তদন্তকালে ১নং আসামি রেলওয়ে থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ উছমান গনি পাঠানসহ ৫ জন পুলিশ কর্তৃক মামলার বাদীকে ধর্ষণ ও যৌন পীড়নের অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় রেলওয়ে থানার চূড়ান্ত রিপোর্ট মিথ্যা বলে আদালতে দাখিল করেন। তবে সাবেক অফিসার ইনচার্জ উছমান গনি পাঠান কর্তৃক বাদীকে মারপিট করার সত্যতা পাওয়া যায়।